মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ধরিয়ে দিলে১ লক্ষ্য টাকা পুরস্কার. পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী

শেখ হাসিনা যতদিন আছেন আপনাদের ভয় নেই

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৪৩ সময় দর্শন

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়েই আমরা এদেশের সমৃদ্ধির সোপান গড়ে তুলতে চাই।

মাঝেমাঝে বিচ্ছিন্নভাবে একটি অশুভচক্র একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যে আঘাত হানার অপচেষ্টা করে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই শেখ হাসিনা যতদিন আছেন আপনাদের কোনো ভয় নেই।

জন্মাষ্টমী পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমকালীন বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন বাংলাদেশ। এখানে মসজিদ এবং পূজামণ্ডপ পাশাপাশি, এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। বিপদে-আপদে সহযোগী আর সহমর্মী হয়।

তিনি বলেন, ধার্মিক মানেই পরমতসহিষ্ণুতা, কথায় এবং আচরণে বিনম্র এবং উদার। ধর্মানুশীলন মানুষের মনের জানালা খুলে দেয়। জগৎকে চেনার সুযোগ করে দেয়। অথচ ধর্মের নামে আজকাল কিছু বিভ্রান্ত মানুষের অপকর্ম আমাদের ব্যথিত করে।

অসহিষ্ণুতা এবং সাম্প্রদায়িকতার স্থান পৃথিবীর কোনো ধর্মেই নেই, ধর্মের নামে যারা অধর্মচর্চা করে, ধর্মকে স্বার্থসিদ্ধির সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চায় এসব তাদের হাতিয়ার। যারা সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ কিংবা উগ্রতা চর্চা করে প্রকৃতপক্ষে তারা ধর্মের মূল শিক্ষাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিবেশীর সাথে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজে সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত। দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা, শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় পারস্পরিক আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের সমুদ্রজয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে তা সম্পর্কের সূত্রকে করেছে আরও সুদৃঢ়। আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে সকলের সমান সুযোগ এবং অধিকার রয়েছে। আপনারা নিজেদের মাইনোরিটি ভাববেন না। এ শব্দটি আপনাদের মানসিকভাবে পিছিয়ে রাখবে। আপনারা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।

নাগরিক হিসেবে একজন মুসলমানের রাষ্ট্রের প্রতি যে অধিকার আপনার সমান অধিকার। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের অংশগ্রহণ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার কথায় এবং কাজে এ কথা বিশ্বাস করে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর দেশে শারদীয় দুর্গোৎসবসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের উৎসব যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। গতবছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৩২৮টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হয়েছিল, প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে। শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে পূজা উদযাপনে সহযোগিতা করে আসছে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কী নির্যাতন নেমে এসেছিল তা আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। যে নির্যাতন একাত্তরে পাক-হানাদারদের নির্যাতনকেই মনে করিয়ে দেয়। শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই তখন পাশে দাঁড়িয়েছিল।

সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আঘাত হানে নানা কৌশলে। তাদের অপচেষ্টা এখনও চলছে, তারা এখনও সক্রিয়। বিষদাঁত ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। থাকতে হবে সচেতন।

তিনি আরও বলেন, আগস্ট মানেই আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্ট অভিন্ন ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। এর কুশীলবরাও অভিন্ন। ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন আমাদের জাতির পিতা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর একুশে আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন আমাদের আস্থার বাতিঘর উন্নয়নের স্থপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে যারা হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা করেছে ও লালন করেছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ বড় করে তুলেছে তারাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জীবন এবং সম্পদের ওপর বারবার আঘাত হেনেছে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরমবন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। উন্নয়ন, মানবিকতা ও সম্প্রীতির শত্রু সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলতে আসুন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71